২২ বছর বয়সী ম্যানিলা চৌধুরী তিতুমীর কলেজের ফিন্যান্স
বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। এই ছাত্রী ২০১০ সালে
চাকরি খুঁজতে গিয়ে শাকু নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরিচয়। আটকে পড়ে তার প্রলোভনের জালে, প্রেম
থেকে শুরু করে লিভ টুগেদার। ম্যানিলাকে
বিয়ের আশ্বাস দিলেও বিয়ে করেনি শাকু। নামায় ইয়াবা ব্যবসায়। একপর্যায়ে ২০১১ সালে র্যাবরে
হাতে গ্রেফতার হয় ম্যানিলা। ১০ মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়ে আবারো সক্রিয় হয়ে ওঠে এ
ম্যানিলা।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগের এডিসি মশিউর রহমান বলেন জেলে যাওয়ার পরেও ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত অনেক নারীর মধ্যে কোন পরিবর্তন আসে না। উল্টো জেলের মহিলাদের তারা এই ব্যবসায় উদ্বুদ্ধ করে।
গত কয়েকবছরে পুলিশ, ডিবি, র্যাব ও বিজিবি লাখ লাখ পিস ইয়াবার চালান আটক করেছে। অহরহই দেখা যায়
চালানগুলোর সাথে নারীদের আটক করা হয়। ইয়াবা সুন্দরী নিকিতা, রিতা, কুলসুম, রুবিসহ
আরও অনেক নারীকে ইয়াবা ব্যবসায়ের সাথে যুক্ত থাকতে দেখা গেছে। প্রথমে কোনোভাবে
নিজেরা ইয়াবা আসক্তিতে পড়ে যায়। তারপরই এ পথে যেনো এসব নারীর নতুন পথচলা শুরু। গৃহবধূ,
গার্মেন্টকর্মী, মাল্টি ন্যাশনাল
কোম্পানি, কল সেন্টারকর্মী, কলেজ
ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রীরা অল্প সময়ে বেশি উপার্জনের জন্য এই ব্যবসায় লিপ্ত
হন। ম্যানিলা চৌধুরীর ঘটনার সাথে কয়েকটা মিল আসে ঐশীর
কাহিনী।
ঐশী জেল থেকে ছাড়া পেলে সমাজে ফিরে যেতে পারবে না, আত্মীয়স্বজন ও নিবে
না।
তখন ঐশী কি করবে? কোথায়ে যাবে
? ঐশীর ভবিষ্যৎ কি?
ঐশীকে আবার ইয়াবা গ্রুপ ব্যাবহার করবে।
আমার পরামর্শঃ সরকারের উচিৎ এ ধরনের অপরাধীদের উপর গবেষণা করা
ও নজরধারি রাখা। এছাড়া বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ঐশীদের দায়িত্ব নিতে
পারে।
আপনাদের পরামর্শ ?
আবারও ম্যালিনাসহ ৬ জন গ্রেফতার দৈনিক যুগান্তরের নিউজ লিঙ্ক
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন