আচ্ছা নিজেকে একটু প্রশ্ন করুনতো ফেসবুক আপনাকে কী দিতে পারে?
একটু ভাবুন -
গবেষণায় দেখা গেছে,
ফেসবুকের ব্যবহার আপনাকে দিতে পারে একরাশ
দুঃখ আর হতাশা। যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা এ দাবি করেছেন। গবেষণালব্ধ ফলাফলের বরাত দিয়ে
গবেষকেরা জানান, ব্যবহারকারীরা যত বেশি সময় ফেসবুক ব্যবহার করেন, তত বেশি তাঁরা নিজের
জীবন নিয়ে হতাশ
হন, আর নিজের
দুঃখ বাড়িয়ে তোলেন।
আপনি যখন আপনার
কোনো বন্ধুর ফেসবুক পোস্টটিকে পছন্দ করছেন,
মনে মনে এর অর্থ কী তা ভাবছেন? ফেসবুক বন্ধুর হাসি-খুশি, আনন্দময় জীবনের উচ্ছ্বাসভরা কোনো মন্তব্য আপনার জীবনের বেদনার নীল রং হয়তো আরও গাঢ়
করে তুলছে। এ রকম শুধু যে আপনি একা ভাবেন,
তা কিন্তু নয়। এ রকম ভাবনা
অনেক ফেসবুক ব্যবহারকারীর। গবেষকেরা তাঁদের সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখেছেন, মানুষ
যত বেশি ফেসবুক ব্যবহার করেন, নিজেদের দুর্দশা ততই বাড়িয়ে তোলেন তাঁরা।
গবেষকেরা দেখেছেন, অতিরিক্ত ফেসবুক ব্যবহারে মানুষের জীবন
নিয়ে সন্তুষ্টির বিষয়টি ক্রমশ
কমতে দেখা যায়। এর বিপরীতে মুখোমুখি দেখা-সাক্ষাত্ মানুষকে তাঁর
জীবন সম্পর্কে উত্সাহী করে তোলে। এ প্রসঙ্গে মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ এথান
ক্রস জানান, ১০০ কোটিরও বেশি মানুষের সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটটিতে সক্রিয় ব্যবহারকারী প্রায় অর্ধেক। সামাজিক যোগাযোগে ফেসবুকের ভূমিকা থাকলেও তরুণ ও যুবকদের মধ্যে হতাশা
বৃদ্ধির অন্যতম কারণ
হয়ে দাঁড়াচ্ছে ফেসবুক।
এ ক্ষেত্রে ‘ফেসবুক-ঘটিত ঈর্ষা’ তরুণদের মানসিক কষ্ট বাড়াচ্ছে। অন্যান্য ফেসবুক বন্ধুদের চমকপ্রদ ডিজিটাল জীবনব্যবস্থা দেখে নিজেকে তুচ্ছ মনে করছেন
অনেকে। সাম্প্রতিক এ গবেষণার ফলাফল সমর্থন করে—এমন গবেষণা অতীতেও হয়েছিল। এর আগে ২০১২ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আরেক
দল গবেষক জানিয়েছিলেন, ফেসবুক ব্যবহারকারীরা যত বেশি
ফেসবুকে লগ ইন করেন, তত বেশি
নিজের জীবন সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা নেন তাঁরা। তাঁদের সব সময় এ ধারণা
হয় যে, তাঁর
চেয়ে বন্ধুরা অনেক
বেশি ভালো আছে!
চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জার্মান গবেষকেদের এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছিল। গবেষকেরা জানিয়েছিলেন, মানুষ যত বেশি সময় ফেসবুকে কাটায়, ততই তাঁর
ঈর্ষা বাড়ে, একাকিত্ব বোধ হয় ও রাগে ফুঁসতে থাকে। ফেসবুকে অতিরিক্ত সময় না কাটিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে মুখোমুখি যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকেরা।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন