নিজের পিতা-মাতাকে খুন করেই
ক্ষান্ত হয়নি ঐশী। নিথর ও রক্তাক্ত মায়ের শরীর থেকে গহনাও খুলে নিয়েছে। রান্নাঘর
থেকে বঁটি এনে স্বপ্না রহমানের কোমরে থাকা বাসার চাবির গোছা কেটে নেয়। এরপর একে
একে কানের দুল, গলার চেইন, হাতের বালা ও নাকফুল খুলে নেয়।
আলমারিতে রক্ষিত আরও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে ব্যাগে ভরে বাসা থেকে বেরিয়ে যায়।
হত্যার আগে সন্ধ্যার পর মা’র জন্য তৈরি করা কফিতে ঘুমের ট্যাবলেট মিশিয়ে দেয়। মা
ঘুমিয়ে পড়লে তার সঙ্গেই শুয়ে থাকে ঐশী। রাত ১১টার পর তার পিতা বাসায় ফিরলে তাকেও
ঘুমের ট্যাবলেট মিশ্রিত কফি খেতে দেয়। তিনিও ঐশীর বেডরুমে ঘুমিয়ে পড়েন। এরপর রাত
২টার দিকে ঐশী খঞ্জর টাইপের একটি ধারালো ছুরি নিয়ে ঘুমন্ত মায়ের ওপর হামলে পড়ে।
প্রথম কোপেই তার মা জেগে ওঠেন। নিজ মেয়ের এমন বর্বরতা দেখে বলতে থাকেন ‘তুই আমার মেয়ে না?’ তাই বলে ঐশীর ছুরি থামেনি।
এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করতে থাকে। একপর্যায়ে নিস্তেজ হয়ে পড়ে যান মা। ছোট
ছেলে ঐহী মায়ের সঙ্গেই ঘুমিয়ে ছিল। হত্যাকাণ্ডের সময় সে জেগে ওঠে। তখন ঐশী তাকে
ধরে নিয়ে বাথরুমে আটকে রাখে।
এরপর পিতার গলায় খঞ্জর চালিয়ে মৃত্যু
নিশ্চিত করে। পরে কাজের মেয়ে সুমির সহায়তায় তাদের লাশ কাপড়ে মুড়িয়ে টেনেহিঁচড়ে
বাথরুমে নিয়ে ফেলে রাখে। দু’জনে মিলেই রক্তাক্ত ঘর ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে। এরপর নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ব্যাগে ভরে ছোট
ভাই ঐহী ও কাজের মেয়েকে নিয়ে বাইরে যায়। বৃহস্পতিবার রাতে তার বান্ধবী তৃষার বাসায়
ছিল। পর দিন শুক্রবার রনির এক খালার বাসায় অবস্থান করে। পরে প্রেমিক পারভেজের
নির্দেশনা মোতাবেক শনিবার পল্টন থানা পুলিশের কাছে ধরা দেয়।
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন